ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয় করার ১০টি উপায়।




অনলাইন মাধ্যমে আপনি অনেক রকম ভাবে উপায় করতে পারেন.যেমন আমি পড়াশোনা করতে করতে ইউটুব করতাম, আনএকাডেমি তে পড়াতাম তার তখন কিছু উপার্জন হতো হাত খরচ ভালো ভাবেই চলতো , আমি ইউটুবে পড়াতাম তখন সেই টাকা দিয়ে আমি দার্জিলিং ঘুরতে গেছিলাম, খারাপ না ভালোই হতো এবং এই পড়ানো আমায় দারুন ভাবে হেল্প করতো নিজের সাবজেক্ট কনসেপ্ট ক্লিয়ার করার জন্য (ফেনীমেন টেকনিক) আমার এই নানান রকম ভিডিও বানানো এবং অনলাইন পড়ানো যা আমার মাস্টার্স শেষ(2019) করার সাথে সাথে ভারতবর্ষের সেরা কোম্পানি গুলো অফার করে বাইজু, আনএকডেমি,ইত্যাদি. বর্তমানে আমি আনএকডেমি তে পড়াই এবং আই আই টি জ্যাম ক্যাটাগরি তে আমি এখন ভারত একনম্বর তার সাথে ইন্ডিয়া মোস্ট ইয়ংগেস্ট টিচার. আমার নিজের একটা অনলাইন প্লাটফর্ম চালু করেছি যেখানে বিনা পয়সায় সবাই আই আই টি প্রিপারেশন করতে পারে 

. এই সব কিছু সম্ভব হয়েছে আমি যখন ছাত্র জীবনে সব রকম ভিডিও বানানোর জন্য. তাই টিকটক এ ভিডিও না বানিয়ে ইউটুব করুন.

 

প্রথম কথা হচ্ছে:: অনলাইন বা অফলাইন যেখানেই টাকা কমাই করতে চাও না কেন। রুল একটাই-- মানুষ টাকা দিতে রাজি এমন কিছু ডিমান্ড খুঁজে বের করো এবং সেই ডিমান্ড অনুসারে কোয়ালিটি প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস সাপ্লাই দাও।

দ্বিতীয় কথা হচ্ছে-- তুমি যেহেতু ছাত্র তাই তোমার পুঁজির জোর, খুঁটির জোর, মামা-খালুর জোর খুবই লিমিটেড। সেজন্য তুমি তেল, আটা, লবন, মধু, গামছা টাইপের ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট জোগাড় করে সাপ্লাই দেয়ার জন্য যে ইনভেষ্ট লাগবে সেটা ম্যানেজ করতে পারবে না। তোমার জন্য সুবিধা হবে ডিজিটাল সার্ভিস বা ভার্চুয়াল প্রোডাক্ট সাপ্লাই দেয়ার জিনিস খুঁজে বের করা।

তৃতীয় কথা হচ্ছে: দুনিয়ার সব কিছুই দিয়েই কোন না কোনভাবে ইনকাম করা পসিবল। কিন্তু সবকিছু তুমি নিজেও পারবে না। এবং সবকিছু তোমাকে দিয়ে হবেও না। তাই নিজেই নিজেকে জিজ্ঞেস করতে হবে-- "আমি কোন জিনিসে ভালো বা আমি কোন জিনিসে ভালো হতে চাই"।

কারণ কেউ যদি লেখালেখিতে ভালো হয়। তার অনলাইনে ইনকাম করার সিস্টেম একরকম হবে। আবার কেউ যদি কাউকে পড়াতে পারে তার সিস্টেম ডিফারেন্ট হবে। আবার কেউ যদি ছবি তুলতে পারে, কিংবা প্রোগ্রামিং এ ভালো হয় তার জন্য এক সিস্টেম। আবার কেউ ভিডিও বানাতে পছন্দ করলে, কিংবা ডিজাইন এ আগ্রহ থাকলে সে অন্যভাবে ইনকাম করবে। আবার মার্কেটিং নিয়ে আগ্রহীরা অন্যভাবে ইনকাম করবে।

তাই অনলাইনে ইনকাম শুরু করতে যাওয়ার আগে একটু চিন্তা করে নাও তুমি কোন জিনিসে ভালো। তুমি কোন লাইনে ভালো? তুমি কোন কিছুতে ভালো না হলেও সেই লাইনে চার-পাঁচ মাস সময় দিয়ে একটু স্কিল ডেভেলপ করে নাও। তারপর অনলাইনে ইনকাম করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ো।

এইবার আসা যাক ইনকাম কিভাবে করবে?


তুমি লেখালেখিতে ভালো:

১. অনলাইন পত্রিকায় লেখো: যদি বাংলায় লেখালেখিতে ভালো হয় তাহলে তোমার প্রথম উপায় হচ্ছে-- বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় লেখা। তারা প্রতিটি নিউজ বা লেখার জন্য দেড়শ থেকে আড়াইশ টাকা দিয়ে থাকে। এছাড়াও নামকরা পত্রিকায় লিখলে এর চাইতে বেশি টাকা পাওয়া যায়। কিছু কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাস্ট ইংরেজি নিউজের বাংলা অনুবাদের জন্যও টাকা নিউজ প্রতি হিসেবে টাকা দেয়। জাস্ট আজকে বসে ৩০টা অনলাইন পোর্টালে ইমেইল করো। ওদের ওয়েবসাইট এ ফোন নাম্বর আছে। সেখানে সিরিয়াল ধরে কল দাও। তোমার কিছু স্যাম্পল কাজ পাঠিয়ে দাও। মোটামুটি দুই সপ্তাহের মধ্যে কিছু না কিছু কাজ পেয়ে যাবে।

২. বিভিন্ন ব্রান্ডের ফেইসবুক পেইজের জন্য লেখা: বিভিন্ন প্রোডাক্ট এবং কর্পোরেট কোম্পানি চায় তাদের ফেইসবুক পেইজে নিয়মিত লেখা যাক। এছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানি তাদের প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিভিন্ন ফেইসবুক গ্রূপ, টুইটার, ডিসকোর্ড, টেলিগ্রাম এ লেখার জন্য স্টুডেন্টদের হায়ার করে। এমনকি আমাদের প্রোগ্রামিং হিরো নামক প্রোগ্রমিং শেখার এপকে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্রোমোশনের জন্যও আমরা স্টুডেন্টদের পার্টটাইম হিসেবে হায়ার করেছি।

৩. এছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানির ওয়েবসাইট এ ব্লগ লেখার জন্য ব্লগ প্রতি আড়াইশ বা তার বেশি টাকা দেয়া হয়।

৪. এছাড়াও বিভিন্ন পত্রিকা/ম্যাগাজিন যেমন কিশোর আলো বা প্রথম আলোতে লিখে টাকা পাওয়া যায়। আর কেউ লেখালেখিতে আরো ভালো হলে পিডিএফ বই প্রকাশ করেও কিছু টাকা কমিয়ে নিতে পারে। ওদেরকে লেখা দেয়ার জন্য তাদের ফেইসবুক গ্রূপ এ জয়েন করো। এডমিন কে কে আছে তাদেরকে নক দাও। দরকার হলে কোন পোস্ট এ এডমিনদের ট্যাগ করে কমেন্ট করো। তোমার লেখা সেই গরূপে পোস্ট করো নিয়মিত। এক মাস দশটা গরূপে এই মিশন চালালে। যদি তোমার লেখা ভালো হয় থালে সেখান থেকেই লোকজন তোমাকে নক দিবে তাদের জন্য লেখা পাঠাতে।

তুমি ইংরেজি লেখালেখিতে ভালো:

কেউ যদি ইংরেজিতে লেখালেখিতে ভালো হয় তাহলে তার অনলাইনে ইনকাম করার অপশন অনেক অনেক বেশি।

১. চাইলে ফ্রিলানচিং সাইট যেমন fiverr, upwork এ কনটেন্ট রাইটিং, ব্লগ রাইটিং এর জন্য প্রচুর কাজ আছে। সেগুলা করে ডলারে ভালো কামাই করতে পারে। কিছু না। কোন এলাকার সাইক্লিং ক্লাবের জন্য লেখা। বা কোন প্রোডাক্টের গুনগান লেখা। বা এর সাথে ওর কম্পেয়ার করে লিখে দিতে হবে। তারপর gramarly টাইপের কোন টুলস দিয়ে তোমার ইংরেজি চেক করে নিবে।

২. ইউটিউব এর ভিডিও, বিশেষ করে ইংরেজি ভিডিও এর ট্রান্সক্রিপ্ট লেখার প্রচুর কাজ আছে। জাস্ট ভিডিও শুনে শুনে কি বলছে সেটা লিখে দেয়া।

৩. আর শুধুমাত্র Medium – Where good ideas find you. এ আর্টিকেল প্রকাশ করেও ছাত্র অবস্থায় উপার্জন করা যায়। আমি নিজেও কয়েকটা ব্লগ Medium – Where good ideas find you. এ পাবলিশ করে কিছু টাকা পেয়েছি।

৪. আর যদি মার্কেটিং টাইপের লেখা লিখতে পারো তাহলে সেলস রিটলেড copywriting করে বা ইমেইল মার্কেটিং এর ইমেইল এর কনটেন্ট লিখে এমন কি প্রোডাক্টের ডিসক্রিপশন লিখেও অনলাইনে প্রচুর ইনকাম করা যায়।

৫. একটু লেখালেখিতে একটু পেকে গেলে, লাইভ কাস্টমার চ্যাট করার জন্য অনেক কোম্পানি হায়ার করে। কাস্টমার সাপোর্ট হিসেবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ট্রেনিংও দেয়।

.

তুমি ইংরেজি পড়তে/বলতে জানো

১. ইংরেজি বইয়ের (ebook বা পিডিএফ) থেকে অডিওবুক তৈরি করার প্রচুর কাজ আছে।

২. Survey Junkie নামক একটা সাইট আছে (আমি কখনো ব্যবহার করিনি) তবে শুনেছি এই টাইপের কিছু সাইট আছে জেগুলাতে তুমি গিয়ে সার্ভে করবে। তার বিনিময়ে তুমি টাকা পাবে।

৩. ডাটা এন্ট্রি করার অনেক কাজ আছে ফ্রিলানচিং সাইটগুলোতে

৪. কিছু কিছু কোম্পনি আছে যারা পার্টটাইম কাস্টমার সাপোর্ট এর জন্য লোক হায়ার করে।

.

তুমি মার্কেটিং করতে জানো বা করতে চাও

১. এখনকার সময় হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মোক্ষম সময়। সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে ফেইসবুক এ এডভার্টাইজিং (Social Media Advertisements)। কোন ছোট বা মাঝারি কোম্পানির জন্য ফেইসবুকে এড ক্যাম্পেইন চালাবে। সেটার বিনিময়ে টাকা পাওয়া যায়। আর এই জিনিসগুলো প্রাথমিক লেভেলে শেখার জন্য জাস্ট ১৫ দিন থেকে এক মাস ইউটিউবে ডেইলি পাঁচ ছয় ঘন্টা ধরে ভালো ভালো ভিডিও দেখলেই প্রাথমিক লেভেলের জিনিসগুলো শিখে ফেলবে।

২. SEO (Search Engine Optimisation) ডিজিটাল মার্কেটিং এর খুবই জনপ্রিয়। জাস্ট গুগল সার্চ দিলে একটা সাইট rank করবে সেটার জন্য অনেক কোম্পানি হাজার হাজার ডলার খরচ করে। একজন স্টুডেন্ট কয়েকমাস সময় দিয়ে এই জিনিসটা শিখে SEO তে এক্সপার্ট হলে সে ফুলটাইম জব এর চাইতেও বেশি উপার্জন করতে পারবে।

৩. Affiliate Marketing (niche site) একটা চমৎকার কনসেপ্ট। সেটা হচ্ছে তুমি কোন একটা টপিকের উপরে একটা সাইট বানাবে। তারপর সেটাতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন ব্লগ লিখে সেই সাইটের SEO ranking ভালো করে। তুমি সাইট অনেক বেশি দামে বিক্রি করতে পারো। এছাড়াও

Affiliate Marketing বা pay per click টাইপের ক্যাম্পেইন চালিয়ে অনেকেই অনলাইনে আয় করছে।

বিশেষ নোট:

[

প্রায় আড়াই ঘন্টা লেখার পর এইটুকু হয়েছে। পুরাটা শেষ করতে আরো তিন ঘন্টা সময় লাগবে।

তো, আজকে সারাদিনের মধ্যে যদি এই পোস্ট এ ১০০ এর বেশি আপভোট পড়ে তাহলে বুঝা যাবে যে তোমরা আরো বিস্তারিত জানতে চাও। তাহলে আমি আরো তিনঘন্টা সময় নিয়ে নিচের টপিকগুলো নিয়ে বিস্তারিত লিখবো। কিছু কিছু রিলেটেড লিংক যোগ করবো। আর সেটা না হলে বুঝবো তোমাদের আগ্রহ নাই। খামাখা তিন ঘন্টা টাইপিং করে কীবোর্ডকে কষ্ট না দিয়ে, ইউটিউবে এ ভিডিও দেখবো।

]

তুমি ওয়েব ডেভেলপ করতে পারো বা করতে চাও:

তুমি ফ্রিলানচিং (fiverr, upwork) করতে চাও:

তুমি গ্রাফিক ডিজাইন করতে পারো বা করতে চাও (logo, web/app design, poster):

তুমি ভিডিও বানাতে চাও (ইউটিউব):

তুমি ফটোগ্রাফি করতে পারো:

তুমি ফটোশপ ভালো পারো:

তুমি ড্রপ শিপিং করতে চাও:

তুমি অনলাইনে পড়াতে চাও:

.

লাস্ট কথা:

অনলাইন বা অফলাইন যেভাবেই কামাই করো। চেষ্টা করবে মানসম্মত প্রোডাক্ট বা নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে কোয়ালিটি সার্ভিস দিয়ে তার বিনিময়ে টাকা নিতে। শুধু ভুজংভাজং কিছু দিয়ে, হাফঝাপ বুঝিয়ে, কাউকে ঠকিয়ে বা ধোঁকা দিয়ে একদিন কামাই করতে পারবে কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী সাস্টেইনেবল কিছু করতে পারবে না। নিজের ভিতরেও শান্তি পাবে না।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url