হযরত মুসা (আঃ) এর বংশ পরিচয় ও জন্ম । ইসলাম ও মুসলমান পর্ব -০2

 

পর্ব-০২



হযরত মুসা (আঃ) এর বংশ পরিচয় ও জন্ম । ইসলাম ও মুসলমান পর্ব -০১


গত পর্বের পর>>>>>> ১ম পর্ব পড়তে উপরের লিংকে ক্লিক করুন অথবা এখানে ক্লিক করুন। পর্ব ১

এ সময় হামান ফেরাউনকে বলল, বন্দু! পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, এখন তুমি তোমার অভিপ্রায় জনসমক্ষে প্রকাশ কর। তখন ফেরাউন ঘোষনা দিলো হে দেশবাসী আমি তোমাদের খোদা। আমি বাচাতে পারি, মারতে পারি। মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিতে পারি। অতএব আমার এ দাবির বিরোধিতাকারীকে চরম শাস্তি প্রদান করা হবে। আর সমর্থনকারীদেরকে পুরস্কৃত করা হবে। ফেরাউনের এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দেশে কোন রূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না হয়ে বরং স্বাগত অভিনন্দন আসা অব্যাহত থাকে। অবস্থা দেখে ফেরাউন ও হামান আনন্দে ফেটে পড়ল। মিশরের তখন কিবতী জাতীয় মূর্তি পূজক ছিল সংখ্যা গরিষ্ঠ ৈএবং হযরত ইসহাকের সন্তান বনি ইসরাইলোর সংখ্যা লঘূ। দেশের কিবীরা ছিল ফেরাউনের একনিষ্ঠ সমথক। আর বনি ইসরাইলোর ছিল ফেরাউনের বিরুদ্ধবাদী দল। এরা ছিল  মুসলমান। অতএব কোন মুসলমানের পক্ষে ফেরাউনকে খোদা বলে স্বীকৃতি প্রদান করা আদৌ সম্ভব নয়। তাই কথা ও কাজে মুসলমানেরা ফেরাউনকে সমর্থন করতে পারল না। 


হযরত মুসা (আঃ) এর বংশ পরিচয় ও জন্ম । ইসলাম ও মুসলমান পর্ব -০১

    এমতাবস্থায় ফেরাউন মুসলমানদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অত্যাচারের মাত্রা বৃদ্ধি করে দেয়। দেশের নিম্ন স্তরের ও পরিশ্রমের কাজে মুসলমানদের নিয়োগ আরম্ভ করে। মুসলমান নারীদের উপর পাশবিক অত্যাচার চালায়। তাদের অর্থ সম্পদ কেড়ে নেবার বিভিন্ন ফন্দি করে। পদস্ত সমস্ত মুসলমানদিগকে বিভিন্ন অজুহাতে বরখাস্ত করে। এভাবে মুসলমানদের উপর অত্যাচারের স্টীম রোলার চালান হয়। তবুও মুসলমানরা তাদের ঈমান বজায় রাখে। 

হযরত মুসা (আঃ) এর বংশ পরিচয় ও জন্ম । ইসলাম ও মুসলমান পর্ব -০১

        আছিয়া নাম্নী বনি ইসরাইলের এক মুসলমান মহিলা ছিলেন অতি রূপসী ও অসাধারণ সুন্দরী। মিশর রাজ্যে তখন অত সুন্দরী কোন রমণী ছিল কিনা সন্দেহ। এ মহিলার রূপে আকৃষ্ট হয়ে ফেরাউন তাকে বিয়ে করে। বিবাহের সময় আছিয়া ফেরাউনকে বলেন, তুমি যদি আমাকে আল্লাহ তা‘য়ালার এবাদত বন্দেগী করতে কোনরূপ বাধা সৃষ্টি না কর এবং তোমাকে খোদায়ী দাবি মানতে দাধ্য না কর তাহলে আমি তোমার সাথে বিবাহে আদৌ সম্মক আছি। আর যদি না হয় আমি তোমার সাথে বিবাহে আদৌ সম্মত নই। ফেরাউন আছিয়ার সমূদয় শর্ত মেনে নিয়ে তাকে বিবাহ করতে সম্মত হয়। অতপর তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। আছিয়া বুদ্ধি, জ্ঞান, সততা ও আচার আচারন এমন অনন্যা ছিলেন যাতে ফেরাউন তাকে ভক্তি শ্রদ্ধঅর চক্ষে দেখতে বাধ্য হত। দেশের হাজার হাজার মানুষের সাথে অনেক দুর্ব্যবহার সে করেছে কিন্তু আছিয়ার সাথে কোন দিন  কোন দুর্ব্যবহার করছে বলে কোন প্রমাণ নেই। 

হযরত মুসা (আঃ) এর বংশ পরিচয় ও জন্ম । ইসলাম ও মুসলমান পর্ব -০১

ফেরাউন দুর্দান্ত প্রতাপের সাথে রাজ্য পরিচালনা করত। সারা দেশময় তার জয় জয়কার রব ছিল। রাজ্যের সকল মানুষই ছিল তার হুকুম বরদার। একদিন রাজদরবারের কয়েক জ জ্যোতিষী এসে ফেরাউনকে বলল, হুজুর! আপনার রাজ্যে েএমন এক ব্যক্তি জন্শ লাভ করতে যাচ্ছে যে আপনার খোদায়ী দাবি সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে দেবে এবং আপনার রাজ্যকে বিধ্বস্ত করবে। আমরা এ খবর অবগত হয়ে খুব ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছি। ফেরাউন একথা শুনে জিজ্ঞেস করল, এখন এর প্রতিকার কি করা যায়। জ্যোতিষিরা বললস এ সন্তান পিতার প্রষ্ঠ থেকে মাতার গর্বে যাতে না পৌছে সে জন্য সারাদেশে অন্তত একপক্ষকাল নারী পুরুষের মিলন নিষিদ্ব করে দেয়া যেতে পারে। ফেরাউন জ্যোতিষীদের পরামর্শ অনুসারে সারা দেশে জরুরী ঘোষনার মাধ্যমে জানিয়ে দিল, কোন পুরুষ এক পক্ষাকালের মধ্যে কোন নারীর সংশ্রবে যাবে না, মিলন করবে না, আদেশ অমান্যকারীর শাস্তি মৃত্যুদন্ড । ফেরাউনের এ ফরমান এক দিনেল মধ্যে সারাদেশে জারী করে দেয়া হল। সকল মানুষ ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে আইন যথাযথ পালনের সিদ্ধান্ত নিল। 

হযরত মুসা (আঃ) এর বংশ পরিচয় ও জন্ম । ইসলাম ও মুসলমান পর্ব -০১



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url