অনলাইন ইনকাম ২০২১ ট্রিক্স – অনলাইনে আয়ের উপায়
অনলাইন ইনকাম ২০২১ (Online Income): আপনি কি একজন ছাত্র? নাকি চাকরিজিবি? এই পোষ্টটি তাহলে আপনার জন্যই। আপনি যদি আমাদেরকে ফলো করেন তাহলে আপনি পড়ালেখার বা চাকরির পাশাপাশি অনলাইন হতে বাড়তি ইনকাম করতে পারেন। আসলে বর্তমানে অনলাইনে আয় এর জন্য বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে ।
সব গুলোর মধ্য থেকে আমি আজকে আপনাদেরকে দেখাব কিভাবে সবচেয়ে সহজে আপনি অনলাইন হতে ইনকাম করতে পারেন। অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়।
আমার আজকের এই পোস্টটি শুধুমাত্র তাদের জন্য যারা নিজের পেশার পাশাপাশি অনলাইন ইনকাম করতে আগ্রহী। বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এবং যারা ছোট- চাকরি করেন। আমি জানি এক ছাত্র ছাত্রী যখন স্কুল-কলেজ পাড়ি দিয়ে ইউনিভার্সিটি লেভেলে ভর্তি হয়। বেশিরভাগ মফস্বলের ছাত্র ছাত্রীদের যে অবস্থা থাকে, আমি সেই অবস্থার মধ্যে ছিলাম। সে সময় থাকে না কোন আয় এর উপায় । ফ্যামিলি থেকে টাকা নিতে গেলেও পড়তে হয় নানান লজ্জায় । নিজেকে তখন অনেক ছোট মনে হয়। এই ভেবে যে আমি একজন ইউনিভার্সিটির ছাত্র অথচ বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে পড়ালেখা করি।
আমার আজকের এই টিউনটি উৎসর্গ করলাম তাদের যারা পড়াশুনা বা চাকরির পাশাপাশি অবসরসময়কে কাজে লাগিয়ে পড়ালেখার পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করে অথবা অন্যন্য কাজের পাশাপাশি টাকা ইনকাম করতে চান কিন্তু মাধ্যম খুজে পান না।
তো বন্ধুরা আপনি অনলাইনে আয় করতে চান বা না চান , আশা করি এই তথ্যগুলি আপনার জানা প্রয়োজন। এই আর্টিকেল এর প্রত্যেকটি প্যারাগ্রাফ-ই গুরুত্বপূর্ণ তাই কোন অংশ বাদ না দিয়ে সম্পূর্ণ পড়ার অনুরোধ রইল।
টপিক সূচি
আসলে কি অনলাইন ইনকাম সম্ভব
অনলাইনে আয় এর সবচেয়ে সহজ উপায়
1. ব্লগিং এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম (Blogging)
একটি ব্যাক্তিগত ওয়েবসাইট বা ব্লগঃ
ব্লগে ভিজিটর আনতে হবে
গুগল এডসেন্স একাউন্ট
এফিলিয়েট লিংক বা প্রমোশন
ব্যানার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়
স্পন্সর বিজ্ঞাপন বা প্রমোশনের মাধ্যমে আয়
ই-কমার্স এর মাধ্যমে আয়
2. ইউটিউব (YouTube)
3. আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)
4. ই কমার্স (E-commerce)
5. আপওয়ার্ক
6. ফ্রিল্যান্সার
7. আর্টিকেল রাইটিং
8. ওয়েব ডিজাইন
9. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
10. অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ
11. ইমেইল মার্কেটিং
12. এস ই ও
আমি কত টাকা আয় করি?
প্রতিদিন কতটুকু সময় কাজ করতে হয়?
আরও পড়ুন
আসলে কি অনলাইন ইনকাম সম্ভব
অনেকে ভাবেন যে অনলাইনে কি ইনকাম করা যায়? যারা এখনো এই প্রশ্নের মধ্যে আছেন আমি তাদেরকে বলছি, আপনারা বর্তমান সময়ের সাথে মিলিয়ে চলতে পারেন নি। কেননা বর্তমান সময়ে যে বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে বিভিন্ন কাজ করে রোজগার করা যায় সেটা আর কারো অজানা নয়। যাইহোক কথা না বাড়িয়ে চলে যাচ্ছি আসল কথায়।
আপনি যদি একজন ছাত্র বা একজন ব্যবসায়ী অথবা একজন চাকরিজীবী ও হন। আপনার পড়ালেখা ব্যবসা বা চাকরির পাশাপাশি কিছু সময় করে প্রতিদিন অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন।
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগছে যে আপনি যে কথাগুলো বলছেন আপনি কত টাকা ইনকাম করেন । রাইট, আমি কত টাকা ইনকাম করি সেটা আমি এই পোষ্টের নিচে দিয়ে দেবো শুধু আপনাদের অনুপ্রেরণার জন্য।
যে পন্থা গুলো অবলম্বন করে আপনি খুব সহজেই এবং অল্প সময়ের মধ্যে অনলাইন হতে ইনকাম শুরু করতে পারবেন আমি শুধুমাত্র সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। কেননা বর্তমানে অনলাইন থেকে আয় করার জন্য হিউজ পরিমান এ কাজ রয়েছে ।
বন্ধুরা, যে কাজটি করলে খুবই সহজে টাকা ইনকাম করা যায় আমি শুধুমাত্র সেই গুলো নিয়ে আলোচনা করব।
অনলাইনে আয়ের সবচেয়ে সহজ উপায়।
অনলাইনে আয় এর সবচেয়ে সহজ উপায়
অনলাইন থেকে কিভাবে আয় করা যায় ? অনলাইন ইনকামের মাধ্যম গুলির মধ্যে যতগুলো বিষয় নিচে যুক্ত করেছি এই সবগুলো থেকে আপনি আয় করতে পারবেন। নিচের যে কয়টা অপশন আমি দিয়েছি সবগুলোতেই আমি চেষ্টা করেছি কিন্তু আমি প্রথম যে অপশনটা রয়েছে ব্লগিং বর্তমানে আমি একজন প্রফেশনাল ব্লগার হিসেবে নিয়োজিত আছি।
কত টাকা ইনকাম করি আপনাদের কে কথা দিয়েছি আমি এই পোষ্টের নিচে দিয়ে দেব শুধুমাত্র অনুপ্রেরণার জন্য। তার আগে আমরা আলোচনা করে নিই কিছু অনলাইন ইনকাম ট্রিক্স- যা জানা আপনার একান্ত প্রয়োজন।
1. ব্লগিং এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম (Blogging)
অনলাইনে আয় করার জন্য বর্তমানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা যত ধরনের কাজ আছে তার মধ্যে সবচেয়ে সহজ এবং ভালো পরিমাণে ইনকাম করার পদ্ধতি হচ্ছে ব্লগিং করে ইনকাম করা।
ব্লগিং করে অনলাইন ইনকাম
ব্লগিং করে অনলাইন ইনকাম
ব্লগিং করে ইনকাম করার জন্য আপনার যা যা প্রয়োজন হবে তা হলোঃ
আপনি যদি ব্লগিংয়ের মাধ্যমে অনলাইনে আয় করতে চান তাহলে আপনার বেশ কিছু জিনিসের প্রয়োজন হবে। যেগুলোর মাধ্যমে অনলাইনে আয় করতে পারবেন।
একটি ব্যাক্তিগত ওয়েবসাইট বা ব্লগঃ
ব্লগিং করে অনলাইনে ইনকাম করতে হলে আপনার প্রয়োজন হবে একটি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট বা ব্লগ। যেখান থেকে আপনি বিভিন্ন মাধ্যম এপ্লাই করে ইনকাম করতে পারবেন। আরেকটি ব্লগ তৈরী করার পর আরও কিছু জিনিসের প্রয়োজন রয়েছে যেমন ব্লগের ভিজিটর আনতে হবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর লিংক। এগুলো পরিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন করলেই আপনার অনলাইন ইনকাম শুরু হবে। এবং করতে পারবেন আনলিমিটেড ইনকাম।
ব্লগ বা ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে এই রিসার্চগুলো পড়ার পরামর্শ রইলঃ
ক) ব্লগিং কি কিভাবে শুরু করতে হয়।
খ) বাংলা ভাষায় পূর্ণাঙ্গ ব্লগিং টিউটোরিয়াল।
গ) কিভাবে বিনামূল্যে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন।
একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে একটি ডোমেইন এবং একটি ওয়েব হোস্টিং। ডোমেইন এবং ওয়েব হোস্টিং থাকলে আপনি নিজে নিজেই আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। এছাড়া ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য একটি ওয়েব প্ল্যাটফর্ম অর্থাৎ CMS (Content Management System) এর পয়োজন হয়।
ডোমেইন এবং ওয়েব হোষ্টিং সম্পর্কে বিস্তারিতঃ
ক) ডোমেইন কি ? কিভাবে রেজিস্টার করতে হয়।
খ) একটি ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করার সময় যে যে বিষয়গুলি লক্ষ্য রাখা উচিত।
গ) ওয়েব হোষ্টিং কি ? হোষ্টিং নির্বাচনের জন্য যে যে বিষয় গুলো লক্ষ্য রাখা উচিত।
অর্থাৎ একটি ডোমেইন, ওয়েব হোস্টিং এবং সিএমএস দিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।
ক) ওয়ার্ডপ্রেস নাকি ব্লগার কোনটি দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করবেন
ক) ব্লগার দিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার টিউটরিয়াল
গ) ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার পূর্নাঙ্গ টিউটোরিয়াল
ব্লগে ভিজিটর আনতে হবে
মনে করুন আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলেছেন এখন আপনার ওয়েবসাইটের জন্যে প্রয়োজন হবে ভিজিটরের। শুধুমাত্র আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকলেই সেখান থেকে ইনকাম করা সম্ভব নয় যদি সে ওয়েবসাইটে ভিজিটর না থাকে। ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করার সবচেয়ে ইম্পরট্যান্ট বিষয় হচ্ছে ভিজিটর। আপনার ওয়েবসাইটের যতদিন থাকবে আপনি তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনার জন্য আপনাকে কিছু কিছু এসইও ট্রিক্স শিখতে হবে। আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইটের এসইও করবেন তখন আপনার ওয়েবসাইটে আস্তে আস্তে ভিজিটর আসা শুরু করবে। এবং আপনার কাজের সাথে সাথে ভিজিটরের পরিমাণ বাড়তে থাকবে এবং আপনার ইনকাম এর পরিমাণ বাড়তে থাকবে।
ক) কিভাবে একটি নতুন ব্লগে ভিজিটর আনবেন
খ) এসইও বাংলা টিউটোরিয়াল
আপনি যদি এই কাজগুলো ইতিমধ্যে করে থাকেন ব্লগিং করে ইনকাম করার জন্য আপনার সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এখন ইনকাম করার পালা। ব্লগিং করে ইনকাম করার জন্য নিচের মাধ্যমগুলো এপ্লাই করতে পারেন।
গুগল এডসেন্স একাউন্ট
ওয়েবসাইট বা ব্লগ থেকে অনলাইন ইনকাম করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সহজ উপায় হচ্ছে গুগল এডসেন্স। এটি গুগলের একটি বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্ম। আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে তাহলে খুব সহজেই গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে এখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
উল্লেখ্য যে আপনি যদি গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে গুগোল অ্যাডসেন্সে নীতিমালাগুলো অবশ্যই আপনাকে মেনে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে।
গুগল এডসেন্স সম্পর্কে আমাদের এই ওয়েবসাইটে আর্টিকেল রয়েছে আপনি সেটাই পড়া নিতে পারেন।
গুগোল অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল হওয়ার পর টাকা কিভাবে তুলবেন ? গুগল এডসেন্স একাউন্টে যখন 100 ডলার পূর্ণ হবে তখনই শুধুমাত্র পেমেন্ট পাবেন। গুগল এডসেন্স সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করে দিয়ে থাকে এর জন্য আপনাকে পেমেন্ট এর জন্য আবেদন করতে হয় না।
গুগল অ্যাডসেন্স থেকে প্রতিমাসে 10 হাজার টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব।
আরও পড়ুনঃ কিভাবে গুগল এডসেন্স থেকে আয় করবেন বিস্তারিত।
এফিলিয়েট লিংক বা প্রমোশন
গুগল এডসেন্স ছাড়াও আপনি চাইলেই এফিলিয়েট মার্কেটিং বা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে পারবেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য ব্লগিং করলে সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রোডাক্ট রিলেটেড আর্টিকেল লিখতে হবে । সেখান থেকে প্রোডাক্ট বিক্রি করার এফিলিয়েট লিঙ্ক দিয়ে দিতে হবে। যখনই আপনার এফিলিয়েট লিংকে ক্লিক করে কেউ কোন প্রোডাক্ট কিনবে তখন আপনি সেখান থেকে কমিশন পাবেন । এটি হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং বা প্রমোশন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত এখানে।
ব্যানার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়
আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে এবং সেটাতে ভালো পরিমাণে ভিজিটর থাকে তাহলে আপনি চাইলেই ব্যানার বিজ্ঞাপন এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
ব্যানার বিজ্ঞাপন এর মাধ্য অনলাইন ইনকাম পদ্ধতিঃ আপনার ওয়েবসাইটে অন্যান্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা পণ্যের বিজ্ঞাপন ব্যানারে দিবে । আপনি সেটিকে আপনার ওয়েবসাইটের যেকোনো একটি স্থানে প্লেস করবেন। এবং এডভারটাইজার এর কাছ থেকে সাপ্তাহিক বা মাসিক টাকা নিবেন।
স্পন্সর বিজ্ঞাপন বা প্রমোশনের মাধ্যমে আয়
স্পন্সর বিজ্ঞাপন এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকামের পদ্ধতি হলো: আপনার ওয়েব সাইটে যে কোন স্পন্সর বা ব্যক্তি এসে কোন প্রোডাক্ট বা পণ্য রিলেটেড আর্টিকেল দিয়ে যাবে এবং সেটি আপনার ওয়েবসাইট থেকে প্রকাশ করতে হবে। এর বিপরীতে সেই স্পন্সর আপনাকে প্রতি আর্টিকেল অনুযায়ী অথবা মাস হিসেবে টাকা দিয়ে দেবে।
ই-কমার্স এর মাধ্যমে আয়
ই-কমার্স হলো আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিজস্ব পণ্য বিক্রি করে ইনকাম করার নাম। অর্থাৎ আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে এবং সেটিতে বিভিন্ন প্রোডাক্ট দিয়ে সাজিয়ে শব্দ তৈরি করে সেখান থেকে প্রোডাক্ট বিক্রি করেন। সেখান থেকেও আপনি ভালো পরিমানে আয় করতে পারবেন।
বেশকিছু ই-কমার্স ওয়েবসাইট হলো যেমন, আমাজন ডট কম, আলি এক্সপ্রেস ডট কম, দারাজ ডট কম, ই-ভ্যালি ডট কম ইত্যামি
আপনার ব্যক্তিগত একটি ওয়েবসাইট, এবং টাকা ইনকাম করার জন্য এফিলিয়েট লিংক অথবা গুগল এডসেন্স দিয়ে আয় করুন। আপনি যদি ব্লগিং করে ইনকাম করতে চান লিংকঃ বাংলায় পূর্ণাঙ্গ ব্লগিং টিউটরিয়াল [অনলাইনে আয়]
2. ইউটিউব (YouTube)
বর্তমানে বাংলাদেশে হতে অনেক ছেলেমেয়েরা ইউটিউব থেকে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই যে আপনি যদি লেগে থাকে ইউটিউবিং করেন তাহলে আপনি ইউটিউব থেকে অবশ্যই সফল হতে পারবেন।
অন্যান্য মার্কেটপ্লেস এর তুলনায় ইউটিউব থেকে ইনকাম করা খুবই সহজ। তবে বর্তমানে ইউটিউব এর আপডেট আনার পর অ্যাডসেন্স মনিটাইজ পেতে বা গুগল এডসেন্স এর এড শো করতে আপনাকে অনেক সময় ব্যয় করতে হবে। কেননা ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে হলে youtube এর কিছু নীতিমালা আছে সেই নীতিমালা আপনাকে অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
আপনি যদি ব্লগিং করেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার কোনো ধরাবাধা নিয়ম থাকবে না আপনার ব্লগে যদি 5 থেকে 10 জন ভিজিটর থাকে তারপরও গুগল এডসেন্স এর এড আপনার ওয়েবসাইটে দেখাবে।
কিন্তু ইউটিউব এর বেলায় আপনাকে অবশ্যই 1 হাজার সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে এবং 4 হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে। ইউটিউব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আমাদের ইউটিউব ক্লিক করে জেনে নিতে পারেন পূর্ণাঙ্গ ইউটিউব টিউটোরিয়াল।
3. আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)
যারা অনলাইনে বিভিন্ন প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় গুগলে সার্চ করে থাকেন “কিভাবে অনলাইন হতে আয় করা যায়” এমন বিষয় লিখে। তারা অবশ্যই জানেন এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি অনলাইন হতে আয় করার অন্যতম মাধ্যম।
আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন থেকে আয় করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটি ওয়েবসাইটের মালিক হতে হবে। এবং আপনার মালিকানাধীন সেই ওয়েবসাইটে আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং এর যেকোনো একটি পণ্য বা প্রোডাক্ট বিক্রি করতে হবে।
বিক্রয় করার পর আপনাকে সেই আমাজন এফিলিয়েট কোম্পানি থেকে কিছু কমিশন দেয়া হবে। আপনি যদি আমার আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং এর যে আমাদের লিংকটি রয়েছে সেখান থেকে কোন অঙ্গটি দেখে নিতে পারেন।
4. ই কমার্স (E-commerce)
বর্তমানে ইন্টারনেট যুগে অনলাইন থেকে আয় করার একটি অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে এ কমার্স।
ই-কমার্স বলতে আমরা স্বাভাবিক ভাবে বুঝিয়েছি অনলাইন থেকে কেনাকাটা করা। আপনি যদি অনলাইন থেকে কেনাকাটা করেন তখন অবশ্যই সেটি যে কোন একটি ওয়েবসাইট থেকে কিনতে হয় এবং সে ওয়েবসাইট অনার আপনাকে আপনার প্রোডাক্ট পৌঁছে দেয়।
সেরকম ভাবে আপনি যদি একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট বা একটি ই-কমার্স ব্যবসার মালিক হতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে এবং আপনি যে সমস্ত পণ্যগুলো বিক্রি করবেন সে সমস্ত পণ্য গুলো আপনাকে নিজ দায়িত্বে কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
কাস্টমাররা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনাকে কোন প্রোডাক্ট অর্ডার করবে সে অনুযায়ী আপনাকে কাজ করতে হবে। এর জন্য আপনাকে কাস্টমার এর কাছ থেকে বিশ্বস্ততা অর্জন করতে হবে। ই-কমার্স ওয়েবসাইটের জন্য আপনি, ডিজিটাল প্রোডাক্ট ইউজ করতে পারেন। ই-কমার্স ওয়েবসাইট ব্যবসা সম্পর্কে জানতে আপনি আমাদের ই-কমার্স লিংকটি ভিজিট করতে পারেন।
5. আপওয়ার্ক
এখন আসছে আপনি কাজ করবেন কিন্তু ইনভেস্ট করবেন না তাহলে আপনার জন্য মার্কেটপ্লেস। বর্তমান অনলাইনে প্রচুর পরিমাণে মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে আপনি কাজ করে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারেন কিন্তু আমি সব গুলো নিয়ে আলোচনা করব না আমি জনপ্রিয় দুটি মার্কেটপ্লেস নিয়ে আলোচনা করব সেটি হচ্ছে আপওয়ার্ক এবং ফ্রিল্যান্সার।
আপনি যদি আপওয়ার্কে কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে যেকোনো একটি বিষয় হতে হবে। যেমন আপনি যদি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হন তাহলে আপনি গ্রাফিক্স এর কাজ করতে পারবেন। অনুরূপভাবে,
আর্টিকেল রাইটিং
ওয়েব ডিজাইন
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ
ইমেইল মার্কেটিং
এস ই ও
এটাতে বিষয়ে কাজ করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে অবশ্যই যে কোন একটি বিষয়ে অনেক পারদর্শী হতে হবে। বিভিন্ন দেশের লোকের সাথে কমিউনিকেশন এর জন্য যোগাযোগের জন্য ভাল ইংরেজি জানতে হবে।
6. ফ্রিল্যান্সার
অতঃপর আসছি ফ্রিল্যান্সার। ফ্রিল্যান্সার ইন্টারনেট ভিত্তিক একটি আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান। এখানে বিভিন্ন লোক ফ্রিল্যান্সার হায়ার করে/ ভাড়া করে তাদের নিজের কাজ করিয়ে নেয়। ফ্রিল্যান্স আপওয়ার্ক এর মতই একটি আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস।
আপনি অনলাইনে আয় বিস্তারিত জানতে চাইলে অথবা অনলাইনে আয় করতে চাইলে আমাদের এই ওয়েবসাইটের অনলাইনে আয় অপশনটিতে ক্লিক করে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারেন।
7. আর্টিকেল রাইটিং
ছাত্র ছাত্রীদের জন্য অনলাইনে ইনকাম করার আরও একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হল আর্টিকেল রাইটিং। আপনি যদি একজন ভাল আর্টিকেল রাইটার হন তাহলে আপনি খুব সহজেই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে লিখে প্রতিদিন আয় করতে পারবেন। বর্তমান মার্কেটপ্লেসগুলোতে ইংলিশ আর্টিকেল রাইটারদের অনেক বেশি চাহিদা।
কিন্তু বর্তমানে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাভাষাভাষী আর্টিকেল রাইটার দের চাহিদা অনেক বেশি। কিন্তু এর জন্য আপনাকে অবশ্যই ভালো মানের রাইটার হতে হবে।
বর্তমানে বাংলাদেশে অনেকগুলো ওয়েবসাইট রয়েছে যারা প্রতিটি আর্টিকেলের জন্য পেমেন্ট করে থাকে। আপনি যদি বাংলা লিখে অনলাইনে আয় করতে চান তাহলে এখানে দেখতে পারেন- বাংলা লিখে আয় করুন বিকাশে পেমেন্ট নিন।
8. ওয়েব ডিজাইন
বর্তমানে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে এবং অনলাইন থেকে আয় করার আরও একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন। ওয়েব ডিজাইন করে অনলাইন থেকে আয় করতে হলে অবশ্যই ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। নিত্য নতুন ডিজাইন তৈরি করতে হবে। এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি সেটি হল বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ গুলো আপনাকে শিখে নিতে হবে। যেমন, এইচটিএমএল, সিএসএস, জাভাস্ক্রিপ্ট, পিএইচপি, পাইথন ইত্যাদি।
এবং এগুলোর জন্য বর্তমানে অনেক ভিডিও এবং টিউটরিয়াল রয়েছে। যে কেউ চাইলেই বিভিন্ন অনলাইনের চ্যানেলগুলো ঘাটাঘাটি করে ফ্রিতে ওয়েব ডিজাইন শিখতে পারে। বর্তমানে একজন ওয়েব ডিজাইনার এর মূল্য অনেক বেশি। একজন ভাল মানের ওয়েব ডিজাইনার বর্তমানে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করছে অনলাইন থেকে।
9. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
ওয়েব ডিজাইন এর পাশাপাশি web-development তো অনেক চাহিদা সম্পন্ন একটি পেশা। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট মূলত ওয়েবসাইট এর পিছনের অংশে কাজ করতে হয়। অর্থাৎ ভিবিন্ন ফাংশন দ্বারা কীভাবে একটি ওয়েবসাইট পরিচালিত হবে তা নির্ধারন করা হয়।
এর জন্য প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়াও কোন ওয়েবসাইটের কোন ক্রিটিক্যাল সমস্যা হলে একজন ওয়েব ডেভলপার সেটাকে সংশোধন করে থাকে।
বর্তমানে ইউটিউব এবং বিভিন্ন ব্লগে প্রচুর পরিমাণে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর ফ্রি এবং পেইড কোর্স রয়েছে। যে কেউ চাইলেই সে কোর্সগুলো সংগ্রহ করে ঘরে বসেই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে পারে।
তবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে হলে অবশ্যই ধৈর্য এবং সময় ব্যয় করার মন মানসিকতা থাকতে হবে।
অনলাইনে আয়ের উপায়
অনলাইনে আয়ের উপায়
10. অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ
বর্তমানে অনলাইনে ইনকামের জনপ্রিয় মাধ্যম গুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহারের গ্রাহক বাড়ার সাথে সাথে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর চাহিদাও বিপুল হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে অনলাইনে বা প্লে স্টোরে প্রবেশ করলে দেখা যায় কত ধরনের এপস দেখা যাচ্ছে। প্রত্যেকটি কোন না কোন ব্যাক্তি ডেভেলপ করেছে।
বর্তমানে বেশ কিছু ওয়েবসাইট বা সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে কোডিং করা ছাড়াই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ডেভলপ করা সম্ভব।
আপনি যদি একজন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভলপার হতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ুন- অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর খুটিনাটি বিষয়।
11. ইমেইল মার্কেটিং
ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার আরও একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হল ইমেইল মার্কেটিং। ইমেইল মার্কেটিং করে ঘরে বসে লক্ষাধিক টাকা প্রতি মাসে ইনকাম করা সম্ভব। বর্তমানে অনেকেই ইমেইল মার্কেটিং করে ঘরে বসে বিভিন্নভাবে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে।
আপনি যদি ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে ইমেইল মার্কেটিং কি কিভাবে কাজ করতে হয়।
12. এস ই ও
আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে। এবং সেখান থেকে ইনকাম করতে চান। অথবা আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে মানুষকে জানাতে চান। তাহলে আপনার ওয়েবসাইটটি মার্কেটিং করার জন্য বা লোকজনের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য এসইও করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
SEO হলো- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন: অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটটি যাতে কোন সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করলে পাওয়া যায়।
মনে করুন আপনার একটি সফটওয়্যার বিষয়ে ওয়েবসাইট রয়েছে, যদি কেউ “best graphic software” লিখে সার্চ করে তাহলে আপনার ওয়েবসাইটটি আসবে। সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইটটি আসার জন্য আপনাকে কিছু কাজ করতে হবে সেটাকেই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) বলা হয় ।
এছাড়াও বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসগুলোতে তাদের ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনে করানোর জন্য বিভিন্ন এসইও এক্সপার্ট দের হায়ার করে থাকে।
আপনি যদি এস.ই.ও. এর কাছে শিখেন তাহলে এর চাহিদা অনেক বেশি। একজন এসইও এক্সপার্ট প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকা অনায়াসে ইনকাম করতে পারে।
এখানে দেখুন- এস.ই.ও কি? কীভাবে কাজ করে? কোথায় শিখবেন সকল বিষয় এখানে।
আমি কত টাকা আয় করি?
ও প্রায় ভুলে গিয়েছিলাম আমি এই পোষ্টের শেষে দিয়ে দিতে চেয়েছিলাম আমার প্রতিমাসে কত টাকা আয়। হ্যাঁ আমি প্রায় 2012 সালে থেকে অনলেইনে আয়ের ব্যবপারে ঘাটাঘাটি করছি। বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করি, বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করি। এবং বিভিন্ন এড নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করেছি। কিন্তু বর্তমানে আমি শুধু ব্লগিং করছি। আমার কয়েক ওয়েবসাইট আছে। এবং আমি আমার ওয়েবসাইটগুলো থেকে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করি। বর্তমানে গুগল এডসেন্স থেকে আমার মাসিক ইনকাম বাংলাদেশি 5 ডিজিট সংখ্যার হয়। সর্বোচ্য কত তা আর বল্লাম না। আপনি যখন আয় করবেন তখন হিসাবটা পেয়ে যাবেন।
প্রতিদিন কতটুকু সময় কাজ করতে হয়?
আপনি যদি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে যদি আপনি বলেন প্রতিদিন কতটুকু সময় দিতে হয় সেটা আপনার জন্য মাইনাস পয়েন্ট। কেননা আপনি কাজ করার প্রথমে আপনি সময় নিয়ে ভাবছেন। আমি প্রথম যখন অনলাইনে কাজ শুরু করি এবং ব্লগিং স্টার্ট করি তখন প্রথমত আমি প্রতিদিন 4 থেকে 6 ঘন্টা সময় দিতাম। তখন যে পরিমানে আয় হতো বর্তমানের সপ্তাহে 10 থেকে 12 ঘন্টা সময় দেই আমার আয় এর সংখ্যাটা পূর্বের থেকে তিনগুন। এখন ভেবে দেখুন আপনার কতটুকু সময় লাগবে বা কতটুকু সময় নিয়ে আপনি কাজ করতে পারবেন।
বলতে গেলে এখানে ধরাবাঁধা কোনো সময় নেই। আপনি যেরকম সময় দিবেন, যে রকম রিসার্স করবেন, যে রকম ঘাটাঘাটি করবেন, সে অনুযায়ী ফলাফল পাবেন। আপনি কাজ করুন আমি আপনার সাথে আছি। প্রয়োজন হলে নিচের কমেন্ট বক্সএ কমেন্ট করতে পারেন।
অথবা আপনার কোন অভিযোগ বা পরামর্শ থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।