সফল ব্যাকিদের বাস্তব গল্প - মুন্সীগঞ্জের আবদুর রহমান প্রথম রেডিমেড ঘর মেকার

 





মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুরের একটি দীর্ঘ ঐতিহ্য হলো টিন এবং কাঠের অনন্যভাবে নির্মান করা ঘর। মুন্সিগঞ্জের এই ঘরগুলো সুন্দর এবং নান্দনিক ডিজাইনে তৈরী, যেটি এই জেলাজুড়ে বিখ্যাত। মুন্সীগঞ্জের আবহাওয়ার অবস্থার কথা চিন্তা করে এই ঘরগুলো নির্মাণের ধারনী তৈরী হয়েছিল বাংলাদেশে, বিশেষ করে মুন্সীগঞ্জের মানুষ পর্যায়ক্রমে নদী তীরের ভাঙনের অনিবার্য দুর্যোগে ভূগছে এবং ঘরবাড়ি হারানোর ভয় সেখানে সাধারণ মানুষের জন্য একটি ব্যাপক উদ্ধেগের বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। 

    মানুষের সমস্যা পর্যবেক্ষণ করে এবং তার সমাধানের কথা চিন্থা করে মুন্সিগঞ্জ এর স্থানীয়, ধলাগাঁও বাজারের বিক্রেতা আবদুর রহমান ঢেউ নি দিয়ে প্রথম রেডিমেড ঘর বানানোর ধারণা নিয়ে আসেন। দীর্ঘ ৯ বছর সৌদি আরবে কাটানোর পর আবদুর রহমান বাংলাদেশে েএসে এই ব্যবসা শুরু করেন, তিনি ২৫ বছর ধরে এই ব্যবসায় জতি আছেন।

এই সুন্দর রেডিমেড ঘরগুলো আবুল খায়ের সিএলর গরু মার্কা ঢেউটিন, কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিল এবং জিংকএলুম দিয়ে তৈরী। ১৯৯৫ সালে , তিনি গরু মার্কা ঢেউটিনের সম্পর্কে জানতে পারেন এবং এটি দিয়ে প্রাথমিক ভাবে ঘর তৈরি শুরু করেন। পরে তিনি কাউ ব্র্যানড কালার কোটেড স্টিল এবং জিংকএলুম দিয়ে ঘর তৈরী শুরু করেন। 

    মানুষ যাতে সহজে তাদের ঘরগুলো স্থানান্তর করতে পারে তাই এই রেডিমেড বাড়ি তৈরীর ধারণা নিয়ে আসেন তিনি। সহজে স্থানান্তর করার ক্ষমতা থাকায় িএই ঘরগুলো নদীভাঙনের কারনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, তাই তার এই উদ্যোগ জনগণের জন্য নিয়ে েএসেছে আশার আলো। 


সৌদি আরব থেকে ফিরে আসার পর আবদুর রহমান বুঝে উঠতে পারছিলেন না কোন ব্যবসা তাকে সাফল্যের পথ দেখাবে। সাধানণ মানুষের প্রকৃতি এবং চাহিদা অধ্যয়ন করে তিনি গ্রামের মানুষকে সাহার্য করার িএকটি মহৎ উপায় প্রধানের মাধ্যমে এই ব্যবসাটি শুরু করার কথা ভাবেন। 


আবুর রহমান এর আবুল খায়ের স্টিলকে বে ছে নেয়ার কারণ হলে এই স্টিলের গুণগত মান। তার দীর্ঘ  এই ২৫ বছরের ব্যবসায় তিনি ক্রেতাদের থেকে ঘরগুলোর বিষয়ে কোন ধরনের অভিযোগ পাননি কারণ, এই ঢেউটিন গুলো ক্ষ হয় কম এবং সহজে মরিচা ধরে না। তা ছাড়া এই টিনগুলো তাপ প্রতিরোধী যা উষ্ঞ  তাপমাত্রারে সময় ঘরকে শীতল রাখে। 

    আবদুর রহমান সাহেব এই রেডিমেড ঘরগুলোর জন্য সব সময় ক্রেতাদের থেকে প্রশংসা পেয়ে এসেছেন, যার জন্য তার ক্রেতাদের তিনি ১০০ শতাংশ গ্যারান্টি নিশ্চিত করে থাকেন এবং সারা জীবন এভাবেই সেবা দিয়ে যাওয়ার আশা রাখেন।

তিনি নিজেও এই ব্যবসাটি নিয়ে খুব সন্তুস্ট এবং আনন্দিত, ভবিষ্যতে তার পরিকল্পনা রয়েছে সারা দেশে এই ব্যবসাটি ছড়িয়ে দেয়ার। 

    আবুল খায়ের স্টিল তার এই সফল যাত্রার অংশ হতে পেরে সৌভাগ্যবান এবং আবদুর রহমানের মতো এমন আরো মুনষের কাছে এই ধরনের মানসম্মত পণ্য নিশ্চিত করার জন্য সর্বদা বদ্ধপরিকর। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url